নিলামে অবিক্রীত’ পাতিদার-ঝড়ে কোয়ালিফায়ারে বেঙ্গালুরু, রাহুলদের বিদায়
হার্শাল প্যাটেলের পঞ্চম বলটা ডট হয়ে যাওয়ার পরই উল্লাস শুরু করে দিলেন বাউন্ডারিতে থাকা বিরাট কোহলি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে যাওয়া আরেকটু নিশ্চিত হলো তখন। অবশ্য এ ম্যাচে কোহলির ওই উদ্যাপনের উপলক্ষ এনে দেওয়ার মূল নায়কের নাম রজত পাতিদার। সেই পাতিদার, এবারের নিলামে যিনি অবিক্রীত ছিলেন। মৌসুম শুরুর পর চোটের বদলি হিসেবে সুযোগ পান। অথচ এলিমিনেটর ম্যাচে বেঙ্গালুরুর নায়ক বনে গেলেন তিনিই।
কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে পাতিদারের ৫৪ বলে ১১২ রানের অপরাজিত ইনিংসে ২০৭ রান তোলা বেঙ্গালুরুকে টপকে যেতে পারল না আইপিএলের নতুন দল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৩ রান তুলতেই আটকে গেল তারা। ১৪ রানে হেরে এলিমিনেটরেই থামল তাদের প্রথম মৌসুম। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে এখন রাজস্থান রয়্যালসের মুখোমুখি হবে বেঙ্গালুরু, সে ম্যাচে জেতা দল যাবে ফাইনালে। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ গুজরাট টাইটানস।
রাহুল ও হুদার জুটিতে ৬১ বলে ওঠে ৯৬ রান। ১৪তম ওভার থেকে গিয়ার বদলানো শুরু করেন তাঁরা। অবশ্য ১৫তম ওভারে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার ৩ বলে ২ ছয়ের পর ক্যাচ দেন হুদা, ২৬ বলে ৪৫ রান করার পর। নামার পর দ্বিতীয় বলে ছয় মেরেছিলেন মার্কাস স্টয়নিস, তবে এর বেশি কিছু করতে পারেননি। ৯ বলে ৯ রান করে হার্শাল প্যাটেলের শিকার হন তিনি।
শেষ ৫ ওভারে লক্ষ্ণৌর প্রয়োজন ছিল ৬৫ রান, সে লক্ষ্যে শেষ ২ ওভারে আসে ৩৩ রানে। লক্ষ্ণৌর তখনো কোনো আশা থেকে থাকলেও ১৯তম ওভারে জশ হ্যাজলউড শেষ করে দেন সেসব—রাহুল ও ক্রুনাল পান্ডিয়াকে ফেরান পরপর ২ বলে। ৫৮ বলে ৭৯ রান করেন রাহুল, তবে দলকে কোয়ালিফায়ারে নিয়ে যেতে যথেষ্ট হয়নি তা।
0 Comments