Header Ads Widget

শুটিংয়ে ওপরে যেতে টাকা খরচ করতেই হবে


 

তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশ শুটিং দলের কোচ হলেন। আগের দুবারের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

কিম ইল ইয়ং: ২০১৬ সালে প্রথমবার মাত্র মাস তিনেক ছিলাম। তখন সবকিছু ভালোভাবে বুঝে ওঠা হয়নি। তবে ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে নেপালে দক্ষিণ এশিয়ান গেমস পর্যন্ত কাজ করেছি। গতবারের অভিজ্ঞতা ভালো ছিল না তেমন।

কেন ভালো ছিল না?

কিম ইল: আগেরবার ঢাকায় যে পরিস্থিতিতে কাজ করেছি, সেটাকে খুবই খারাপ বলব। তখন শুটারদের সহায়তা করা হতো না। ভালো কোচিংও পাননি শুটাররা। ফেডারেশনের ভেতর কোন্দল ছিল। এসব কারণে আমি দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের পর দেশে ফিরে যাই। এখন পরিস্থিতি বদলেছে। নতুন কমিটি এসেছে। তাই আবার ফিরে এসেছি।

আপনার অধীনে গত কাঠমান্ডু এসএ গেমসে পিস্তলে কোনো সোনা পায়নি বাংলাদেশ, রাইফেলেও নয়। অথচ ২০১৬ গুয়াহাটি এসএ গেমসে শাকিল আহমেদ পিস্তলে সোনা জিতেছিলেন।

কিম ইল: ২০১৯ এসএ গেমসে আমরা পিস্তলে রুপা এবং ব্রোঞ্জ জিতেছি। মেয়েদের বিভাগে এবারই প্রথম ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে ব্যক্তিগত রুপা জিতেছেন আরদিনা ফেরদৌস। দলীয় রুপাও আসে। মিশ্র দ্বৈতে শাকিল আর আরদিনা ব্রোঞ্জ পেয়েছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় ভালো ফলই বলতে হবে। তবে গত এসএ গেমসে কী হয়েছে, কেন সোনা আসেনি, সে অনেক কাহিনি। সেসব নিয়ে বলতে চাই না। তবে এটা বলব, তখন আমরা অনুশীলনে পর্যাপ্ত গুলি পাইনি।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের শুটারদের ভালো করতে না পারার কারণ কী?

কিম ইল: কারণ তো অনেক। শুটিংয়ের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা চাই। দক্ষিণ কোরিয়ায় ১০ হাজারের বেশি শুটার আছেন। চীনে ২০ হাজারের বেশি। ভারতেও কয়েক হাজার। অথচ বাংলাদেশে শুটারের সংখ্যা মাত্র ২০০-৩০০। সেটাও একেবারে প্রাথমিক স্তরে থাকা শুটারসহ। উন্নতির জন্য প্রথমত শুটারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। অনেকের মধ্য থেকেই উঠে আসবে আগামীর ভবিষ্যৎ।

কিন্তু নব্বই দশকেও ভারতের মতো দেশ পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশের চেয়ে। এখন কেন এই শূন্যতা?

কিম ইল: বাংলাদেশের বাস্তব পরিস্থিতি বুঝতে হবে। বিশ্ব শুটিংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের শুটিংয়ে বিস্তর ব্যবধান। বাংলাদেশের মান অনেক নিচের দিকে। ওপরের দিকে তখনই যাবে, যখন অনেক টাকা খরচ করবেন। ভারতসহ অনেক দেশই শুটিংয়ে অর্থ ঢালছে। সেটা হতে পারে বাংলাদেশের চেয়ে ১০০ গুণ বা তার বেশি।

এবার এসে আপনি কী লক্ষ্য স্থির করলেন?

কিম ইল: শুটারদের আরেকটু উঁচু স্তরে নিয়ে যাওয়াই আমার লক্ষ্য। জয়ের লক্ষ্য নিয়েই বাংলাদেশে ফিরেছি। বাংলাদেশ তাকিয়ে থাকে এসএ গেমসের পদকের দিকে। কিন্তু এসএ গেমস আমার লক্ষ্য নয়। ওটা একটা আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা। আমি দৃষ্টিটাকে বড় পরিসরে মেলে ধরছি। লক্ষ্য স্থির করেছি অনেক বড়। বিশ্বকাপে পদক জিততে চাই।

Post a Comment

0 Comments