Header Ads Widget

বেলজিয়ামের বুকে কাঁপন ধরিয়েও হারল ডেনমার্ক

বেলজিয়ামের জয়ের তিন নায়ক।
বেলজিয়ামের জয়ের তিন নায়ক। ছবি : রয়টার্স

আগের ম্যাচে এত বড় একটা ধাক্কা খেয়েছে তারা। দলের সবচেয়ে বড় প্রতিভা ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনকে খেলার মাঠ থেকে হারিয়েছে। খেলার মাঠ কী, এরিকসেনের জীবনই পড়ে গিয়েছিল সংশয়ে। যার প্রভাব পড়েছিল ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের ফলাফলে। গত শনিবারের সে ম্যাচে ১-০ গোলে হেরে গিয়েছিল ডেনমার্ক।


সে হিসেবে আজ বেলজিয়ামের বিপক্ষে ডেনমার্কের ব্যাকফুটেই থাকার কথা ছিল। কিন্তু কীসের কী? বিশ্বের এক নম্বর দলের বুকে কাঁপনই ধরিয়েছে তাঁরা নব্বই মিনিট জুড়ে। তবে শেষরক্ষা আর হয়নি। শেষমেশ জয় হয়েছে বেলজিয়ামের অদম্য মানসিকতার। ডেনমার্ককে ২-১ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়া নিশ্চিত করেছে এবারের ইউরোর অন্যতম ফেবারিট এই দল।

গোলের পর ডি ব্রুইনা।
গোলের পর ডি ব্রুইনা।
ছবি : রয়টার্স

বেলজিয়ামের হয়ে গোল করেছেন থরগান হ্যাজার্ড ও কেভিন ডি ব্রুইনা। ওদিকে ম্যাচের দুই মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েও শেষমেশ জয়ের স্বাদ পাননি ডেনমার্কের স্ট্রাইকার ইউসুফ পোলসেন।

প্রথম থেকেই বেলজিয়ামকে বেশ ভালোভাবে চেপে ধরে ডেনমার্ক। ড্যানিশদের কার্যকরী প্রেসিংয়ের চাপে টানা পাঁচটা পাসও ঠিকঠাক দিতে পারছিল না বিশ্বের এক নম্বর দলটা।

যার ফলাফল চলে আসে দুই মিনিটেই। মাঝমাঠ থেকে টটেনহামের মিডফিল্ডার পিয়েরে এমিল হইবিয়ার পাস থেকে ডান পায়ের শটে দুর্দান্ত গোল করেন লাইপজিগের স্ট্রাইকার পোলসেন। গোলের জন্য বেলজিয়ামের ডিফেন্ডার জেসন দেনায়েরের ‘ভূমিকা’ও হেলাফেলা দেওয়া যাবে না।

প্রথম দিকে বেলজিয়ামের খেলা দেখে মোটেও মনে হয়নি এই ম্যাচ তাঁদের পক্ষে জেতা সম্ভব। দুই দলই নেমেছিল ৩-৪-২-১ ছকে। কিন্তু ছক, কৌশল সব পরের কথা, খেলার তীব্রতায়, মানসিকতায়, উদ্যমের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল ডেনমার্কই।

এদিকে দশ মিনিটে দুর্দান্ত এক ঘটনার সাক্ষী হয় ইউরো। ডেনমার্কের অসুস্থ মিডফিল্ডার, দশ নম্বর জার্সিধারী ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনকে সম্মান জানাতে ঠিক দশ মিনিটে মাঠের সবাই দাঁড়িয়ে করতালি দিতে থাকেন। হাসপাতাল থেকে এই দৃশ্য দেখলে এরিকসেনের মুখে হাসি ফুটবে নিশ্চিত
প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল ডেনমার্কই
প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল ডেনমার্কই
ছবি : রয়টার্স

প্রথমার্ধে এরিকসেনের জায়গায় খেলতে নামা ডামসগার্ড কিংবা মার্টিন ব্রাথওয়াইট গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন, গোল করতে পারেননি। কিন্তু এটা স্পষ্ট হচ্ছিল, ম্যাচ জিততে হলে একাদশে পরিবর্তন আনতে হবেই বেলজিয়ামকে। সেটাই হয় দ্বিতীয়ার্ধে। দ্রিস মের্তেন্সের জায়গায় মাঠে নামেন কেভিন ডি ব্রুইনা।

ব্যস, সেরা খেলোয়াড়টি দলে আসলে খেলার খোলনলচে যেভাবে পালটে যায়, সেটাই হল। লুকাকু-ডি ব্রুইনার জাদুতে বল পেয়ে যান হ্যাজার্ড পরিবারের ছোটজন। ৫৪ মিনিটে থরগান হ্যাজার্ডের সমতায় ফেরে বেলজিয়াম।

থরগানের বড় ভাই, রিয়াল মাদ্রিদ তারকা এদেন হ্যাজার্ডকে নামানো হয় এর একটু পরেই, খেলার রাশ আরেকটু চলে আসে বেলজিয়ামের হাতে। এই এদেন হ্যাজার্ডের পাস থেকেই ৭০ মিনিয়ে বাঁ পায়ের জোরালো শটে বক্সের বাইরে থেকে গোল করেন ডি ব্রুইনা।

শেষে ডামসগার্ড, ওলসেন, ব্রাথওয়াইট হাজারো চেষ্টা করেও ম্যাচের ফল নিজেদের পক্ষে আনতে পারেননি। ম্যাচশেষে তাঁদের ফিরতে হয় খালি হাতেই।

তবে হারলেও ডেনমার্ক যা খেলেছে, হাসপাতাল থেকে ম্যাচ দেখে থাকলে এরিকসেন সতীর্থদের নিয়ে গর্বিত হবেনই!

 

Post a Comment

0 Comments